তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল গ্রামের কার্তিক শীল (৭৭) পাঁচ যুগ ধরে কাঠের ফিড়েতে বিভিন্ন বাজারের গলিতে বসে কাজ করে আসছেন। তার পাশে আরেক নরসুন্দর একই গ্রামের পবিত্র শীল (৬০) গত ৪০ বছর ধরে ফিড়েতে বসে কাজ করে আসছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে সহস্রাইল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাঁস মুরগির গলিতে বসে তারা কাজ করছেন। এ সময় নরসুন্দর কার্তিক শীলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত পাঁচ যুগ ধরে কাটাগড়, আলফাডাঙ্গা, সূর্যোগ বাজারে মাটিতে চকি আর ফিড়ে দিয়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সংসারে ছেলে মেয়ে দিয়ে ৫ জন রয়েছে। বড় ছেলে বোবা। বড় ছেলে সূর্যোগ বাজারে এবং ছোট ছেলে সহস্রাইল বাজারে নরসুন্দরের কাজ করে।
তিনি বলেন এখন আর তেমন কাজ করতে পারি না বয়াসের জন্য। সপ্তাহে শুধু সহস্রাইল বাজারে মঙ্গলবার ও শুক্রবার দুই হাটে কাজ করি। কোন দিন ২ শত টাকা, ৩ শত টাকা আয় হয়। দুইদিন বাদে বাকি দিন গুলো বাড়িতে থাকি। ভিটে ছাড়া আর কোন জমি নেই। কোন রকম দিন কেটে যায়। বাব দাদার ব্যবসা ছাড়তে পারছি না।
তিনি আরো জানায় তার নামে বয়স্ক ভাতা রয়েছে।
একই গ্রামের পাশের আরেক নরসুন্দর পবিত্র শীল বলেন, গত ৪০ বছর ধরে সহস্রাইল বাজারে মাটিতে বসে নরসুন্দরের কাজ করে আসছি। সংসারের তিন মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই হাটে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায়।
তারা বলেন, বর্তমান বিভিন্ন বাজারে উন্নত সেলুন হওয়ার কারনে আমাদের কাছে মানুষ কম আছে। এক সময় মাটিতে বসে কাজ করে ৫ থেকে ৭ শত টাকা প্রতিদিন আয় হতো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।